ত্রিফলা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, দেহ পরিষ্কার রাখে প্রয়োজনীয় ভিটামিন & মিনারেলস দেয়। ত্রিফলা গলব্লাডার আর
কিডনির পাথর হবার সম্ভাবনা দূরে রাখে বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই
আয়ুর্বেদিক চিকিত্সার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আয়ুর্বেদিক উপাদান শরীরের জন্য উপকারীই বটে।
এরকমই একটি উপাদান ত্রিফলা। ত্রিফলার আক্ষরিক অর্থ হলো তিনটি ফল। অর্থাত্ এতে তিনটি ফলের মিশ্রণ রয়েছে। হরতকি
বহেরা আর আমলকী এই তিনটি ফলের শুকনো গুঁড়া দিয়ে তৈরি।
চলুক জেনে নেয়া যাক ত্রিফলা আমাদের কি কি উপকারে আসে।
১) মানবদেহের বর্জ্য নিষ্কাশন করা আর ডিটক্সিফাই করায় ত্রিফলার মোকাবেলা আর কেউ করতে পারবে না।
২) ত্রিফলা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, দেহ পরিষ্কার রাখে আর প্রয়োজনীয় ভিটামিন আর মিনারেলস দেয়।
৩) গবেষণায় দেখা গেছে হাই কোলেস্টেরল লেভেল আর আরথাইটিসের ঝুঁকি কমাতে ত্রিফলা ভূমিকা রাখে।
৪) ত্রিফলার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আর বদহজমজনিত সমস্যা দূর করে।
৫) গলব্লাডার আর কিডনির পাথর হবার সম্ভাবনা দূরে রাখে।
৬) শরীরে টক্সিন জমার কারণে হওয়া চর্মরোগ যেমন ব্রণ, হোয়াইট হেডস দূরে রাখে।
৭) এর বিভিন্ন এনজাইম আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যজনিত ভাঁজ পড়ার হার কমায়। আর তারুণ্য বজায়
রাখে। ত্রিফলা ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর রাখে।
৮) ত্রিফলায় আমলকী আর হরতকি চুল পড়া কমায়। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ত্রিফলা সেবনের উপায়:-
প্রত্যেক রাতে এক গ্লাস জলে চামচ ত্রিফলা গুঁড়া ভিজিয়ে রাখুন আর সকালে উঠে খালি পেটে জলটা খেয়ে নিন।
এর আধা ঘণ্টা পর সাধারণ খাওয়া দাওয়া শুরু করুন।
ত্রিফলা উপকারিতাঃ
ত্রিফলা হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা দূষণের কারণে হওয়া চুলের ক্ষতি কমাতে সহায়তা করে।
ত্রিফলায় থাকা আমলা অকালে চুল পাকা থামাতে বিশেষভাবে উপকারী এবং বহেরা চুল পড়া কমাতে ও চুলের
গোড়া শক্ত করতে খুবই সাহায্য করে।
ক্ষত সেরে যায় চোখের নিমেষে :
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে টাসা হওয়ার কারণে এই মিশ্রনটি খাওয়া শুরু করলে
শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্ষত সারতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো চোট বাচ্চাদের
নিয়মিত এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রনটি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে :
রক্তচাপ কি ওঠানামা করে? তাহলে নিয়মিত ত্রফলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে
সময় লাগবে না। এই মিশ্রনটিতে লাইনোলিক অ্যাসিড, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে :
নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়া শুরু করলে দেহের পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় রোগব্যাধির প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।
ক্যান্সারকে কাছেই আসতে দেয় না :
নিয়মিত খালি পেটে এই আয়ুর্বেদিক চূর্ণটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে
ক্যান্সার সেল জন্মে নেওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। আর একবার যদি জন্ম নিয়েও ফেলে তাহলেও তার বৃদ্ধি
আটকে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে :
ত্রিফলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে যেমন এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তেমনি হার্টে যাতে
কোনওভাবেই প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের করনারি আর্টারি
ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায় :
সকালটা যদি আপনার কাছে অভিশাপের সমান হয়, তাহলে আজ থেকেই ত্রিফলা চুর্ন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন
উপকার মিলবে। যে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসায় এই
হার্বাল মিশ্রনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোলোনকে পরিশুদ্ধ করার মধ্যে দিয়ে আরও নানা ধরনের
রোগের আশঙ্কা কমাতেও ত্রিফলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে :
অতিরিক্ত ওজনরে কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া
উচিত ত্রফলা চুর্ণ। কারণ নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটার কারণে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন
কমতে শুরু করে।
Reviews
There are no reviews yet.