তেঁতুল বীজে গুঁড়ার উপকারিতাঃ
১। তেঁতুল বীজ বলকারক।
২। তেঁতুল বীজ শরীরের দূর্বলতা দূর করে।
৩। দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও (যৌ) ন শক্তি বৃদ্ধি করে।
৪। তেঁতুল বীজ বীর্যের উৎপাদন ও শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
৫। তেঁতুল বীজ মহিলাদের জরায়ুর শক্তি বৃদ্ধি করে।
সেবন পদ্ধতিঃ ১ চা চামচ পাউডার ১ কাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে খাবেন।
হ্যাঁ, উপকার পাওয়া যায়। এটা শরীরের দুর্বলতা কমায় আবার রুচি বাড়ায়। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু গুনাগুন রয়েছে যেগুলো নিচে উল্লেখ করে দিলাম। কিন্তু এতে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। স্বাভাবিকভাবে মোটা হলে শরীর একটু ভার লাগে কিন্তু আপনার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তেঁতুলের কার্যকারিতা ও ব্যবহারঃ
তেঁতুল বীজ সাধারন বলকারক, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে। মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন করে। তেঁতুল রক্ত ও পিত্তের প্রকোপ নিবারক এবং স্নিগ্ধকারক ও বিরেচক । বমন রোধ করে, উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে।
আয়ুর্বেদিক মতে গুণ ও প্রয়োগঃ
কাঁচা তেতুলের গুনঃ
এটি গুরুপাক, কফ পিত্ত বৃদ্ধি কারক, উষ্ণবীর্য, রুক্ষ ও লঘুপাক, ভেদক, অগ্নিবর্ধক, কষায়-অম্লরশ, বায়ু নাশক ও রক্তদুষ্টিকারক।
পাকা তেতুলের গুনঃ
এটি অম্ল- মধুররস,উষ্ণবীর্য, রুক্ষ, সারক, অগ্নীবর্ধক এবং কফ ও বায়ু নাশক, লঘুপাক, পিত্তবৃদ্ধি কর, দাহ ও রক্তদুষ্টি প্রকোপকারক।
শুষ্ক তেতুলের গুনঃ
এটি রুচি বৃদ্ধিকর ও শ্রান্তি, ক্লান্তি ও পিপাসায় উপশমকারক। তেঁতুল বীজের শাঁস চুর্ন শুক্রগাঢ় কারক ও বৃষ্য।
ইউনানী মতে গুনঃ
তেঁতুল শাঁস মাংশ ২য় শ্রেনীর শীতল ও শুষ্ক । মতান্তরে ১ম শ্রেনীর শীতল ও ২য় শ্রেনীর শুষ্ক । তেঁতুল বীজ ৩য় শ্রেনীর শীতল ও শুষ্ক। তেঁতুল বীজ সংকোচক, মোগাল্লেজ, স্তম্ভক ও স্বপ্নদোষ নাশক। তেঁতুল হৃদপিণ্ড ও পাকস্থলীর শক্তি বর্ধক এবং হৃদকম্প রোগে উপকারী , পিত্ত ও বিকৃত আখলাত দাস্ত আকারে বের করে দেয় , এবং রক্তের প্রকোপতা দমন করে অর্থাৎ দাওরানে খুন (মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন) রোধ করে । বমিভাব, পিত্তজনিত জ্বর পিপাসা, দাহ, মূচ্ছা ও সর্বপ্রকার চুলকানিতে উপকারী। তেতুলের পানি দিয়ে গড়গড়া করা মুখের ঘায়ে উপকারী ।
সেবন মাত্রাঃ
বীজের পাউডার ৩ থেকে ৭ গ্রাম
খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ
রাতে ১ চামচ পাউডার হাফ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন ও নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও একই নিয়মে রাতে খাবেন। অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও বিরূপ ক্রিয়াঃ
নির্ধারিত মাত্রায় কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও বিরূপ ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি ।
সতর্কতা ও প্রতিনির্দেশঃ
অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতুল সেবনে কাশি, জ্বর, প্লীহার ক্ষতি করে ও বদ্ধমল সৃষ্টি করে।
তেঁতুল ( Tamarind)
বাংলা বা স্থানীয় নামঃ তেঁতুল
ইউনানী নামঃ তামার হিন্দ
আয়ুর্বেদিক নামঃ আম্লিকা
হিন্দি নামঃ অমলী ও ঈমলী
সংস্কৃত নামঃ আম্লিকা , চুক্রিকা , চুক্রা, অম্লী , অম্ল , তিণ্ডিড়ী
ইংরেজি নামঃ Tamarind
বৈজ্ঞানিক নামঃ Tamarindus indicus Linn
পরিবারঃ Papilionaceae
ব্যবহৃত অংশঃ বীজ, পাতা ও ফলের মজ্জা ।
Reviews
There are no reviews yet.