শতমূলী গুঁড়ার উপকারীতা:
১. উচ্চ এবং নিম্ন উবয় প্রকার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দূর্বলতা কাটাতে শতমূলী অনন্য।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
৪. অ্যাসিডিটি, শারীরিক দুর্বলতা, ব্যাথা, ডায়রিয়া, আমাশয় ও শরীরের নানা প্রদাহ রোধে করে।
৫. স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধি করে, রক্ত স্বল্পতা রোধে করে শুক্রবৃদ্ধি করে।
সেবন পদ্ধতি : ১ চা চামচ বা ৫ গ্রাম চূর্ণ গরম পানিতে বা সাধারণ পানিতে কিছুক্ষণ রেখে খাওয়া যেতে পারে। দৈনিক
১ – ২ বার। অন্যান্য ভেষজের সাথেও খাওয়া যাবে।
শতমূলীর পরিচিতি
শতমূলী গাছ একটি লতানো উদ্ভিদ। এর গোড়ায় একগুচ্ছ কন্দ মূল থাকে। এই মূলগুলোই শতমূল নামে পরিচিত।
এর লতায় বাঁকা কাঁটা হয়। ফুল মঞ্জুরিতে হয়। শরতে এর ফুল ও ফল হয়, পাকে মাঘ-ফাল্গুন মাসে। ছোট মটরের
মত সবুজ ফল, পাকলে লাল হয়।শতমূলীর ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম।
জেনে নেয়া যাক শতমূল সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান তথ্য
প্রচলিত নামঃ শতমূল গাছ
ইউনানী নামঃ সাতাওয়ার
আয়ুর্বেদিক নামঃ শতাবরী, শতমূল
ইংরেজি নামঃ Asparagus
বৈজ্ঞানিক নামঃ Asparagus racemosus Willd
পরিবারঃ Liliaceae
প্রাপ্তিস্তানঃ দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চলে ও শালবনে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বাগানে চাষ করা হয়।
আরো পড়ুন: কুমড়ার বীজের বিশেষ উপকারিতা যা আমরা জানি না
শতমূল গাছ রোপনের সময় ও পদ্ধতি
বংশ বিস্তারের জন্য বীজই প্রধান মাধ্যম। উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে এবং বালিযুক্ত মাটিতে এ গাছটি ভাল জন্মায়।
বীজ বপনের পূর্বে বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ১০-১৫ দিনের মতো
সময় লাগে। অংকুরিত চারার বয়স দুই থেকে তিন মাস হলে তা রোপণের উপযুক্ত হয়। কন্দমূল থেকেও চারা করা
যায়। এপ্রিল-মে মাসে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
রাসায়নিক উপাদানঃ
মূলে শর্করাদ্রব্য ও গ্লাইকোসাইড এবং পাতায় স্যাপোনিন বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ
শতমূল গাছ এর কন্দমূল।
শত্মূলীর বিশেষ উপকারিতা ও ভেষজ গুণাবলি
গুনাগুনঃ
বলকারক, স্তন্যদুগ্ধবর্ধক, শুক্রগাঢ়কারক। স্বপ্নদোষ, মূত্রকৃচ্ছতা, শারীরিক দুর্বলতা, গনোরিয়া ও শুক্রমেহে উপকারী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ
বলকারক, স্তন্যদুগ্ধবর্ধক, শুক্রগাঢ়কারক।
আরো পড়ুন:
অ্যাভোকাডোর আশ্চর্যজনক গুণ যা অবশ্যই কাজ করবে
বিশেষ রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতি
রোগের নামঃ শারীরিক দুর্বলতা ও স্তন্যদুগ্ধ কমে যাওয়া
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচা মূলের রস
মাত্রাঃ ১৫-২০ মিলি.
ব্যবহার পদ্ধতিঃ শতমূল রস ১৫-২০ মিলি. দুধ ২৫০ মিলি. চিনি এক চা চামচ সহ সকাল-বিকাল সেব্য।
রোগের নামঃ শুক্রমেহ ও স্বপ্নদোষ
ব্যবহার্য অংশঃ শুষ্ক মূলচূর্ণ
মাত্রাঃ ৫-১০ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রত্যহ ২-৩ বার সেব্য।
রোগের নামঃ মূত্র কৃচ্ছতায় ও গণোরিয়া
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচা মূলের রস
মাত্রাঃ ১০-১৫ মিলি.
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রত্যহ ২ বার সেব্য।
শতমূল সেবনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক
শতমূলীর রস বেশি দিন ক্রমাগত সেবন করলে পেটে গ্যাস হতে পারে। পরিশেষে, শতমূল গাছের ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম।
Reviews
There are no reviews yet.