ত্বকের সার্বিক রক্ষা- ত্বককে নানাবিধ রোগের হাত থেকে এই (Olive Oil) অলিভ অয়েল রক্ষা করে ৷এতে থাকা ভিটামিন ই এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ৷ত্বকের সার্বিক রক্ষার জন্য় একটি কাপের এক তৃতীয়াংশ দই, এক চতুর্থাংশ মধু এবং দুই চামচ (Olive Oil) অলিভ অয়েল নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে ৷এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে৷ পুরু আস্তরণ করে মুখে এই মিশ্রণ লাগাতে হবে ৷কুড়ি মিনিট পরে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ৷সপ্তাহে দু দিন এইভাবে অলিভ অয়েল ব্য়বহার করলে উপকার পাবেন ৷
বাজার চলতি বিভিন্ন ক্রিমে অনেক সময় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির কারণে আপনার অজান্তেই ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়৷ (Olive Oil) অলিভ অয়েল-এর ব্যবহারে ত্বক নানান দিক থেকে সুরক্ষা পেতে পারে৷
অ্য়াকনে বা ব্রণ প্রতিরোধ-
ব্রণ বা অ্য়াকনে একটি নিত্যদিনের সমস্য়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ দূষণ, ব্য়স্ত জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া
এবং সেই সঙ্গে নিজের ত্বক এবং শরীরের সঠিক যত্ন না নেওয়ার ফলে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে
থাকে ৷ কিন্তু জলপাই তেল এই ব্রণর হাত থেকে আপনার ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য় করে
অনেকটাই
সৌন্দর্যচর্চায় অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের (Olive Oil) রয়েছে সৌন্দর্যচর্চার হরেক গুণ। ঐতিহাসিকভাবে এটি শান্তি ও সৌহার্দ্যের
প্রতীক। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য হিসাবেও এর কদর আছে। এসব ছাড়াও স্বাস্থ্য
পরিচর্যা, ঘর-গৃহস্থালির জিনিসপত্র পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে অলিভ অয়েল।
ওয়েব ডেস্ক
অলিভ অয়েলে (Olive Oil) রয়েছে উপকারী কোলেস্টরাল এইচডিএল (হাই ডেনসিটি লাইপ্রোটিন), যা
পরিপাক প্রক্রিয়ায়-সহায়ক ভূমিকা রাখে। গলস্টোন ও আলসার প্রতিরোধের পাশাপাশি-পুষ্টির
যোগান দেয়। এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় কাজ করে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবেও। অনেক
গুণের অধিকারী এই অলিভ অয়েল (Olive Oil) ব্যবহারেই সুন্দর ত্বক ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে ওঠা যায়।
অলিভ অয়েল বাথ:
অনেক বিশ্বসুন্দরী তার নিজের সৌন্দর্যের গোপন রহস্যের পেছনে অলিভ অয়েল বাথের অবদানের কথা
জানিয়েছেন। এক বালতি পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল(Olive Oil) মিশিয়ে নিন আর গোসলের পর
অনুভব করুন তুলতুলে নরম, সিল্কি ত্বকের স্পর্শ অথবা আপনি যদি গোসলের আগে অলিভ অয়েল (Olive Oil)
দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করে নেন তা হলেও সেই একই ফলাফল পাবেন।
নখের ভঙ্গুরতা রোধ:
শখ করে নখ বড় করেছেন কিন্তু এত সাবধান থাকা সত্ত্বেও নখ ভেঙে যাচ্ছে। আর মন খারাপ
করবেন না। তেলটিকে হালকা গরম করে নিন তারপর নখগুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।
তারপর দেখুন আপনার নখগুলো কেমন শাইন দিচ্ছে আর এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে
নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে।
আই ক্রিম:
অলিভ অয়েল চোখের চারপাশের কুঁচকে থাকা ত্বককে হাইড্রেট করে আর নরম করে তোলে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার রিং ফিঙ্গার দিয়ে আলতো হাতে অলিভ অয়েল বুলিয়ে
দিন। অতিরিক্ত তেল নরম টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে পারেন।
পা ফাটা সমস্যার সমাধান:
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন, তারপর মোজা পরে ঘুমান।
সকালে নরম তুলতুলে পায়ে পছন্দের স্যান্ডেল গলিয়ে চলে যান গন্তব্যস্থলে।
ঠোঁটের যত্নে অলিভ অয়েল:
নিম্নমানের কসমেটিকস বা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আপনার নরম কোমল ঠোঁট তার
কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে আসে, ম্লান করে উজ্জ্বলতা। তাই নিয়ম করে যদি অল্প অলিভ অয়েল
ঠোঁটে বুলিয়ে নেওয়া যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই নিস্তার পাওয়া যাবে।
মেকআপ রিমুভার:
জমকালো সাজে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। এবার সঠিক উপায়ে মেকআপ তোলার পালা।
আঙুলের ডগায় অথবা কটন প্যাডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর সার্কুলার মোশনে
আস্তে আস্তে সমস্ত মেকআপ তুলে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে শেষ করুন
আপনার মেকআপ তোলার প্রক্রিয়া। যাদের সেনসেটিভ স্কিন তারা নিরাপদে মেকআপ তোলার
কাজ সেরে নিতে পারেন।
মুখের যত্নে অলিভ অয়েল মাস্ক:
একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ৩ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে
প্যাক তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি
তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নরমাল অথবা শুষ্ক ত্বকে এই মাস্ক আর্দ্রতা বজায় রাখবে
সেই সঙ্গে নরম কোমল করে তুলবে।
ময়েশ্চারাইজার:
অলিভ অয়েলে আছে linolic acid, যা পানি বাষ্প হতে দেয় না। তাই ১/২ কাপ অলিভ অয়েল,
১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে একটি সলিউশন তৈরি করুন যা রাতে ঘুমানোর
সময় নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল (Olive Oil) স্কিনকে নরম করে, ভিনেগার
ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
সান প্রোটেকশন:
অভিল অয়েলে ভিটামিন এ এবং ই আছে সেই সঙ্গে ৩ রকমের antioxidants আছে, যা
আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে। তাই যদি বাইরে যাওয়ার আগে অলিভ
অয়েলের প্রলেপ দিয়ে বের হন তবে সূর্যরশ্মি থেকে অনেকটাই মুক্তিলাভ করবেন।
ব্রণ প্রতিরোধক:
শুনে হয়ত অবাক হবেন ব্রণের চিকিৎসায় তেলের ব্যবহার। কিন্তু অলিভ অয়েল (Olive Oil) ব্রণের বংশ
ধ্বংস করার জন্য উপকারী। ৪ টেবিল চামচ লবণের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (Olive Oil) মিশিয়ে
একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট ২ মিনিট ধরে মুখে ম্যাসাজ করুন। এভাবে এক
সপ্তাহ করুন। আপনি অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
চুলের যত্নে অলিভ অয়েল
ফ্রিজি চুলের সমাধান:
একটি চিরুনি অলিভ অয়েলের (Olive Oil) মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর ফ্রিজি চুলে আঁচড়ে নিন। এতে চুল
ময়শ্চার হয় ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।
হেয়ার কন্ডিশনার:
শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল (Olive Oil) নিয়ে ভালোভাবে দুই হাতে ঘষে
ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনারের বদলে লাগিয়ে ফেলুন।
ডিপ কন্ডিশন:
সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল (Olive Oil) চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান।
এভাবে ২/৩ ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। তারপর নিজেই লক্ষ্য করবেন শাইনি
আর স্বাস্থ্যকর চুলের বাহার।
খুশকি থেকে মুক্তি:
সমপরিমাণ জলপাই তেল আর বাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে
১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে
আসবে।
নতুন চুল গজানো:
মাথায় অলিভ অয়েল (Olive Oil) ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ডুবানো তোয়ালে দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিতে
হবে। খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তোয়ালে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে
মাইক্রোওয়েভে আবার গরম করে নিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
হেয়ার মাস্ক:
একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ (Olive Oil) অলিভ অয়েল, ৫ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। চুলে ১৫
মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল হয়ে উঠবে নরম আর উজ্জ্বল।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে:
পেট পরিষ্কার না থাকার কারণে আমাদের অনেকেরই মুখে ব্রণ দেখা দেয়। তাই ব্রণের সমস্যা
সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে পেটের সমস্যাও সমাধান করতে হবে আমাদের। প্রতিদিন সকালে কিছু
খাওয়ার আগে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (Olive Oil) খাবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার সমস্যার
সমাধান হবে।
চোখের যত্নে:
মাশকারার বদলে চোখের পাপড়ি ও ভ্রুতে অলিভ অয়েল (Olive Oil) লাগান, আর বাড়িয়ে তুলুন আপনার
চোখের সৌন্দর্য।
Runa –
Olive oil ta khub khub khub valo
Shahina Khan –
Very authentic product
Shahina Khan –
nice
Sushmi –
good product