প্রাচীন আয়ুর্বেদ রুপচর্চায় ব্যবহৃত খুবই জনপ্রিয় একটি উপাদান কস্তুরী হলুদ বা Wild Turmeric।
ভাবছেন রান্নার হলুদ মুখে দিবেন? না, মোটেই নয়! রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ এবং কস্তুরী হলুদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে অবশ্যই।
কস্তুরী হলুদ দেখতে অনেকটা কাঁচা হলুদের মত হলেও এর ঘ্রাণই আপনাকে জানান দিয়ে দিবে এটি রান্নার হলুদের
চেয়ে কতটা আলাদা। এছাড়া, কস্তুরী হলুদ রুপচর্চায় ব্যবহার করলে কোনো ধরনের স্টেইন বা হলদে ভাব তৈরি করেনা।
আজ জানিয়ে দিচ্ছি কস্তুরী হলুদের পাঁচ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে!
১। স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে
শংখ গুড়া ও কস্তুরি হলুদ টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে স্ট্রেচ মার্ক এর স্থানে লাগান। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন।
স্ট্রেচ মার্ক অনেকটাই হালকা হয়ে আসবে.
২। অসমান ত্বক বা পিগমেন্টেশান সমস্যায়
একচামচ কস্তুরী হলুদ সামান্য দুধের সাথে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই
মিংশ্রনটির নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে করবে গভীর থেকে পরিষ্কার এবং পরের দিন সকাল
বেলাতেই বুঝতে পারবেন ত্বক কতটা ব্রাইট ও ফ্রেশ লাগছে!
৩। পিম্পল ও দাগ দূর করতে
কস্তুরী হলুদে রয়েছে অসংখ্য Anti Bacterial Agent। তাই পিম্পল, একনে ও দাগ দূর করতে এর কোনো জুড়ি নেই।
হলুদের সাথে নিম পাউডার ও মধু মিশিয়ে শুধু একনে স্পটে ব্যবহার করলে উপকার দেখা যাবে চোখে পরার মত।
৪। ডার্ক সার্কেল রিমুভাল হিসাবে
আমারবাজার্স এর কস্তুরি হলুদের সাথে শসার রস মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে চোখের নিচে অ্যাপ্লাই করুন। ক্লান্ত চোখের
যত্ন হবে সেইসাথে ডার্ক সার্কেলও কমে যাবে অনেক।
৫। বডি ট্যান দূর করতে
আমারবাজার্স এর কস্তুরি হলুদের সাথে মসুর ডালের গুড়ো ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন বডি ট্যান
স্ক্রাব। তবে কস্তুরী হলুদে বা ওয়াইল্ড টার্মেরিক ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী হলেও কিছু নিয়ম মেনে এটি
ব্যবহার করতে হয়। কস্তুরী হলুদ কখনোই শুধু মাত্র একক উপাদান হিসেবে সরাসরি ত্বকে
ব্যবহার করবেন না। যেকোন প্যাক বা পাউডারের সাথে পরিমানমতো মিশিয়ে ব্যবহার
করবেন। এটি এতটাই ন্যাচারাল যে খুব কম পরিমানেই লাগে। এটি ব্যবহারের পর
ছয় থেকে আট ঘণ্টা রোদে যাওয়া যাবে না। এজন্য ওয়াইল্ড
টার্মেরিক প্যাক সবসময়ই রাতে ব্যবহার করবেন।
Reviews
There are no reviews yet.