তালমূলী গুঁড়া উপকারিতা অতুলনীয়। সেগুলি হলো –
- ১. কামলা রােগে তালমূল একটি কার্যকারী ঔষুধ।
- ২. শুক্রক্ষয়ে (শুক্রতাল্পতায়) তালমূলের যাদুকরী ভূমিকা পালন করে ।
- ৩. মাসিক ঋতুর বেশী পরিমাণে স্রাব হলে তালমূলের গুঁড়া খেলে দ্রুত আরগ্র লাভ করবে।
- ৪. অর্শ রোগ থাকলে তা সেরে উঠে।
- প্রতিদিন ১ চা চামচ তালমূলের গুঁড়া ১ চামচ পানিতে মিশিয়ে পানি সহ খেতে হবে ।
সকাল / বিকাল ২ বেলা খাবেন,
রাতে ঘুমানোর আগে খাবেন না ।
খাওয়ার নিয়মঃ
এক গ্লাস পানি অথবা দুধের সাথে এক চামচ পাউডার মিলিয়ে খেতে পারেন।
তালমূলের পরিচিতিঃ
ছোট তাল গাছের পাতার মতো দেখতে এই গাছের গোড়া থেকে হলদে ছোট ছোট ফুল বের হয়। দেখতে বেশ লাগে।
আর ঘন সবুজ পাতাও সুন্দর। একারণে বেশ নাম না জেনেই এদের লাগিয়েছিলাম বাড়িতে অনেক আগে।অনেক
পরে জেনেছি এদের পরিচয়-তালমূলী। যা নানা রোগে উপকারী একটি ভেষজ। না জেনে কয়েকবার কেটে সাবার
করেছিলাম। তারপরও এরা এখনো আছে সগৌরবে।
তালমূলীর বিশেষ গুণ-
এর পাতা ও কন্দমূল যৌনশক্তি বাড়াতে, প্রস্রাবের পাথর সারাতে, কাটাছেঁড়ায়, চর্মরোগে এবং সর্পদংশনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। যৌন অক্ষমতায় কন্দের মিহিচূর্ণ ঘি ও চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কাটাছেঁড়া, চর্মরোগ বা সর্পদংশনে মূলের কন্দ বেটে ক্ষতস্থানে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়।
আমাশয় ও উদরাময়ে কন্দের মিহিচূর্ণ ঘোল বা ভাতের মাড়ের সঙ্গে খেলে উপশম হয়। আবার মূত্রপাথর সারাতেও ৪৫-৯০ গ্রেন কন্দের মিহিচূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। পাকস্থলীর ঘায়ে ৩ গ্রাম কন্দ ৮-১০টি পিপুল বীজের সঙ্গে ছেঁচে পানিতে জ্বাল দিয়ে ঘন করে ছেঁকে দুই বেলা করে খেতে হয়। অর্শরোগে ৫-৬ গ্রাম কাঁচা মূল বা কন্দ পিষে মাখন বা দুধ-চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে এই অসুবিধা দূর হয়। জন্ডিস এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় তালমূলী বাটা শরবত প্রতিদিন ২ বার করে ৩ দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এসব ছাড়াও এ উদ্ভিদের কন্দমূল শক্তিবর্ধক, ক্ষুধাবর্ধক, হজমকারক, জ্বরনাশক, গনোরিয়া, গেঁটেবাত, হাঁপানি ও পেটব্যথায় অত্যন্ত কার্যকর।
Reviews
There are no reviews yet.