তুলসি পাতা আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী, তুলসি(Tulsi)পাতা আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।ত্বকের দাগ তুলতে সহায়ক। তুলসি(Tulsi)পাতা ত্বকের গর্ত সারায়।
জেনে নেয়া যাক এর ব্যবহার বিধি ও উপকারিতা।
ত্বকের যত্নে উপকারিতা:
*ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
* ত্বকের দাগ তুলতে সহায়ক।
*ত্বকের গর্ত সারায়।
ব্যবহারবিধি
* তুলসি (Tulsi) পাতার গুড়ার সাথে, গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্নকে ব্যবহার করতে পারেন।
* তুলসি (Tulsi) গুড়ার সাথে মসুর ডাল গুড়া মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
*ডিমের সাদা অংশের সাথে তুলসি(Tulsi) গুড়া মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যায়।
চুলের যত্নে উপকারিতা :
চুলের খুশকি রোধ করে।
চুল পড়া রোধ করে।
চুলের উজ্বলতা বৃদ্ধি করে।
চুল গজাতে সহায়তা করে।
ব্যবহারবিধি
* এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেলের তেলের সাথে তুলসি(Tulsi) গুড়া মিশিয়ে সারারাত চুলে লাগিয়ে নিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* তুলসি(Tulsi) গুড়া দিয়ে পানি গরম করতে হবে। পানি ঠান্ডা করে গোসলের শেষে চুলে ঢেলে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসি পাতার উপকারিতাঃ
তুলসি(Tulsi) পাতা উপকারী একথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু তুলসিপাতা খেলে কোনো উপকারগুলো পাওয়া যায়
সেকথা অনেকেরই অজানা। ওষুধ হিসেবে তুলসিপাতার ব্যবহার বেশ পুরোনো। এই পাতায় আছে অ্যান্টি
ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এগুলো মারাত্মক সব রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ
ইত্যদির বিরুদ্ধেলড়াই চালিয়ে যেতে পারে। এটি নানা গুণে অনন্য বলেই হাজার বছর ধরে যোগ আছে ওষুধের
তালিকায়। জেনে নিন তুলসি পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
সর্দি-কাশি কমিয়ে দেয়
এটি খুব পরিচিত চিত্র যে, ঠান্ডা লাগলে অর্থাৎ সর্দি-কাশি হলে তুলসি পাতা খাওয়া হয় ওষুধ হিসেবে। সর্দি ও কাশি
সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে। কারও বুকে কফ বসে গেলে তাকে প্রতিদিন সকালে তুলসি পাতা, আদা ও চা পাতা
ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে দিন। এতে দ্রুতই উপশম মিলবে।
গলা ব্যথা দূর করে
গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে আস্থা রাখুন তুলসি পাতায়। কারণ এই সমস্যা দূর করতে তুলসি পাতার জুড়ি মেলা ভার।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতেও তুলসি পাতা বেশ উপকারী। করোনা মহামারির এই সময়ে তাই নিয়মিত তুলসি পাতা
খাওয়ার অভ্যাস করুন। কয়েকটি তুলসি পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূরে রাখতেও সাহায্য করে তুলসি পাতা। এই পাতায় আছে
রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। এতে আরও আছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন
রোসমারিনিক এসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন। এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে
কার্যকরী। অগ্নাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয় তা দূর করতেও তুলসী পাতা দারুণ উপকারী। পাশাপাশি দূরে রাখে
ব্রেস্ট ক্যান্সারও।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি
মোকাবিলায় কাজ করে এই পাতা। জ্বর সারাতেও তুলসি পাতা সমান উপকারী। তুলসি পাতা ও এলাচ পানিতে ফুটিয়ে
সেই পানি পান করলে খুব সহজেই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে তুলসি
পাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত শুকায়।
ওজন কমায়
তুলসি পাতা খেলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোই রোধ করে। তাই খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তুলসি দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল প্রতিদিন
খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে
তুলসি পাতা ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসি পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে।
তুলসি অ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের কাজ করে। তুলসিতে থাকা স্যাপোনিন, ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড ডায়বেটিস
রোধ করতে কার্যকরী। তুলসি পাতা উপকারী। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে যাওয়া বা না খাওয়াই উত্তম। চলুন জেনে
নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে তুলসি পাতা এড়িয়ে চলবেন-
গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময়
সামান্য তুলসি পাতা খেলে তা ক্ষতিকর নয় তবে অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে এসময় নানা রকম জটিলতা দেখা
দিতে পারে। তাই এই সময়গুলোতে তুলসি এড়িয়ে চলাই উত্তম। এঅতিরিক্ত (Tulsi) তুলসি পাতা খেলে তা নারীর
ক্ষেত্রে হতেপারে বন্ধ্যাত্বের কারণ। তাই পরিমিত গ্রহণ করতে হবে।
রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে
তুলসি পাতা অতিরিক্ত খেলে তা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত জমাট হওয়ার
প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা। যেকোনো সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে
থেকে তুলসি পাতা খাওয়া বন্ধ রাখুন।
নিম্ন রক্তচাপ
তুলসি পাতায় থাকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম। ফলে কমে যেতে পারে রক্তচাপ। তাই কারও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা
থাকলে তুলসি পাতা না খাওয়াই ভালো। এই ক্ষেত্রগুলোতে সতর্ক থাকলেই (Tulsi)তুলসি পাতা খাওয়া নিরাপদ।
এর অনন্যসব উপকারিতার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন।
Arnab –
I received the product without any harm directly from their official store by face to face so it’s 100% original! About the product my god the smell is exactly like mint and feels the same ! It’s organic so, everyone can surely purchase this! 😍😍😍