১। (Brammi)ব্রাহ্মী ও আমলকির হেয়ার প্যাক।
আমলকিতে খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এই ভিটামিন চুলের জন্য খুব দরকারি, বিশেষ করে চুলের বৃদ্ধির জন্য। তাই ব্রাহ্মীর সঙ্গে আমলকির গুড়া ব্যবহার করুন।
উপকরণ-
পরিমাণ মতো (Brammi)ব্রাহ্মী গুড়া ও আমলকি গুড়া ।
পদ্ধতি-
৬ চামচ (Brammi)ব্রাহ্মী গুড়ার মধ্যে ৩-৪ চামচ আমলকি নিন। সামান্য পানি মিশিয়ে ব্রাহ্মী ও আমলকির হেয়ার প্যাকটি বানিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে ৩-৪ বার করুন, দেখবেন ফল পাবেন।
২। (Brammi)ব্রাহ্মী আর নিম এর হেয়ার প্যাক
নিম এর গুড়া মুখে তো ব্যবহার করেছেন। কিন্তু চুলের জন্য ব্যবহার করতে হবে শুনে কি চমকে যাচ্ছেন! না চমকে এ বার ব্যবহার করুন। নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান স্ক্যাল্পের অয়েল ব্যালেন্স করে, খুশকি কমায়, চুলের গ্রোথ ভালো রাখে।
উপকরণ-
নিম এর গুড়া ও ব্রাহ্মী গুড়া পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি-
পরিমান মতো নিম গুড়া ও ব্রাহ্মী গুড়া নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট মতো। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২ দিন অন্তত এটি করুন। তা হলেই আপনি উপকার পাবেন। ব্রাহ্মী শাক হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্রাহ্মী ফুল সবচেয়ে বেশি ভেষজ উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। তাই একে ব্রেন বুস্টারও বলা হয়। তবে ব্রাহ্মীর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দেহের অনেক সমস্যা নিরাময় করতে পারে। খুব সাধারণ এই শাকের রয়েছে অসাধারণ কার্যক্ষমতা। নানান জটিল রোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর এই শাক। আসুন এই বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক-
ব্রাহ্মী শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে নাইট্রিক অক্সাইড, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করে। ব্রাহ্মী শাক রক্ত পাতলা করতেও সহায়তা করে, যার কারণে শিরাগুলিতে রক্ত প্রবাহ সহজেই ঘটতে পারে।
স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে-
মনে করা হয় ব্রাক্ষ্মী শাক স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। ব্রাহ্মী শাকে ভেষজটিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। এটি একটি অ্যাডাপ্টোজেন ভেষজ হিসাবে বিবেচিত হয়।
ক্যান্সার রোধে উপকারি-
ব্রাহ্মী শাক ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, এটি মস্তিষ্কের টিউমার কোষগুলিকে মেরে ফেলার পাশাপাশি স্তন ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের ক্ষতিকারক কোষগুলির বৃদ্ধিকে কমাতে সহায়তা করে। তাই ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়মিত ব্রাহ্মী শাক পাতে রাখাতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি-
ব্রাহ্মী শাকের এন্টিডিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই শাক নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া ব্রাহ্মীতে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়, যার কারণে ব্রাহ্মীর প্রভাবে টাইপ -২ ডায়াবেটিসেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মৃগী রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকর-
আয়ুর্বেদের মতে ব্রাহ্মী শাকের সাহায্যে দেহের সমস্ত স্নায়ু শক্তিশালী হতে পারে এবং সমস্ত ব্যাধি কাটিয়ে উঠতে পারে। মৃএই শাকের মেন্টাতে এন্টিপাইলপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মৃগী নিরাময়ে সহায়তা করে।
ব্যথায় উপশমে ব্রহ্মীর তেল-
ব্রহ্মী শাকের তেল ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকা অ্যান্টি-নোকিসেপটিভ বৈশিষ্ট ব্যথার উপশম করে। এই ওষুধের তেল ব্যবহার শরীরের জয়েন্টগুলি এবং পেশী সম্পর্কিত সমস্ত ব্যথায় খুব উপকারী।
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কার্যকর-
যাদের হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস বা শ্বাসকষ্টের মতো শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ রয়েছে তাদের ব্রক্ষ্মীর নির্যাস বা রস খুব উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যাডাপ্টোজেনিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ফুসফুসগুলি শক্তিশালী। এটি শ্বাস নালীর প্রদাহ এবং প্রদাহজনিত সমস্যাও সরিয়ে দেয়।
শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক-
মনে করা হয় বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকাশে এই শাক যথেষ্ট সাহায্য করে। এই সময়ে, যদি বাচ্চাদের ব্রাহ্মী শাক খাওয়ানো যায় তবে এটি শিশুদের শারীরিক ও মস্তিষ্কের বিকাশে দারুণ প্রভাব ফেলে।
Reviews
There are no reviews yet.