উপকারিতাঃ
হৃদ রোগের উপশম করে।
বুক ধরপর কমাতে সাহায্য করে।
অ্যাজমার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমাশা থেকে মুক্তি করে।
ক্ষতস্থানে গুড়া ব্যবহার করা যায়।
হজম শক্তি বাড়াতে সাহাজ্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ত্বকের কোষ মজবুত করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
মুখের রুচি বৃদ্ধি করে।
সেবন পদ্ধতিঃ
১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ গুড়া মিশিয়ে সকালে খালি পেটে ও রাতে খাবারের আগে সেবন করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
২ চা চামচ গুড়া গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খেলে হৃদ রোগের জন্য ভালো উপকার পাবে।
অর্জুন গাছ, যাতে পেয়ারা গাছের অনুরূপ পাতা রয়েছে কিন্তু এটি আকারে অনেক বড়, এর বৈজ্ঞানিক নাম হল টার্মিমিনেলিয়া
অর্জুন। বিভিন্ন অঞ্চলে, এটি ধাওয়াল, কুকুভ এবং নাদিসারজ নামেও পরিচিত। অর্জুন গাছ চিরহরিৎ বৃক্ষ। প্রধান ঔষধি গাছের
মধ্যে একটি অন্যতম গাছ হল অর্জুন গাছ। এটি প্রাচীন কাল থেকে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে। অর্জুনের গাছের ছাল
পাউডার, ডিকোশন, স্কুর ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অতএব আমাদের অর্জুন গাছের ছালের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী
তা জানা দরকার।
অর্জুনের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ
অর্জুন গাছের ছাল বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। আসলে তার বাকল, লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার
মাধ্যমে কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এই ছালের সেবন রক্ত প্রবাহের বাধা দূর করে। এর জন্য, অর্জুন গাছের ছালের এক
চামচ পাউডার, দুই গ্লাস জলে অর্ধেক রয়ে যাওয়া পর্যন্ত গরম ক’রে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করা উচিত। এই ভাবে বন্ধ
ধমনী খুলবে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পাবে।
কাশির উপশমেঃ
শুকনো অর্জুনের গাছের ছালের পাউডার, তাজা সবুজ ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিন।
এভাবেই সাত বার মেশানোর পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে চূর্ণ প্রস্তুত করা হয়। এর সাথে মধু দিয়ে রোগীকে সেবন
করালে তিনি আরাম অনুভব করেন।
মেদ দূর করতেঃ
অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগা মানুষ প্রত্যহ সকাল, সন্ধ্যায় অর্জুনের গাছের ছালের মিশ্রণ পান করলে তাঁদের
সমস্যা কমে যেতে পারে অনেকটাই। এটি এত দ্রুত কাজ করে যে মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনি আপনার মেদের
উপর এর প্রভাব অনুভব করতে পারবেন।
মধুমেহের (সুগার) উপশমেঃ
মধুমেহ রোগীরা অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তাদের সমস্যাও শেষ করতে পারে। এর জন্য অর্জুন গাছের ছালের
পাউডার, দেশী জাম বীজের চূর্ণ সমান পরিমাণে মিশিয়ে ঘুমের আগে উষ্ণ জল সহযোগে পান করুন। দ্বিতীয় বিকল্প
হল অর্জুনের গাছের ছাল, কদম গাছের ছাল, জামুন গাছের ছাল ও পার্সলে এক সমান পরিমাণে মিশিয়ে এবং ভাল
করে গুঁড়িয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। ডিকোকেশনের জন্য অর্ধ লিটার জল যোগ করুন এবং সকালে 3 সপ্তাহ ধরে
এই মিশ্রণটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মধুমেহ থেকে পরিত্রাণ করতে পারে।
প্রস্রাবের বাধা দূর করতেঃ
অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি পানীয়, প্রস্রাবের বাধা দূর করে। এ জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করুন এবং দুই
কাপ জলে ফোটান। যখন পানি অর্ধেক হয়ে আসবে, তখন তা ঠান্ডা করতে দিন। এরপর ঠান্ডা হওয়ার পরে রোগীকে
পান করান। দিনে একবার খাওয়ানো হলে, এটি প্রস্রাবের বাধা দূর করে।
প্রদাহ হ্রাস করাঃ
অর্জুন গাছের বাকলও কিন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখে থাকে। এর জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করে তার মিহি
গুঁড়ো খরিপাক পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১০ গ্রাম পরিমাণে রোগীকে খাওয়ানো হলে, কার্ডিওভাসকুলার রোগের পাশাপাশি
হৃদরোগের ঘটনা হ্রাস পায়। এ ছাড়া, প্রায় ১ থেকে ৩ গ্রাম পরিমাণ পাউডার খেলে প্রদাহ হ্রাস পায় এবং তার সাথে
সম্পর্কিত সমস্যাও চলে যায়।
অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতাঃ
- অর্জুন গাছের ছাল গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষতি করে, তাই তাঁদের এই ছাল ব্যবহারে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
- সুগার রোগীদেরও অর্জুন গাছের ছাল যথেষ্ট সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
- একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শের পরেই যতটা সম্ভব অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন।
Reviews
There are no reviews yet.