এলোভেরা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে ।এলোভেরা ব্রন এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে ।স্ট্রেচমার্ক দূর করতে সাহায্য করে।স্কিনের ডেড সেল দূর করে।
- এলোভেরা চুল পরা কমিয়ে, চুল ঘন এবং সুন্দর করে তোলে।
- চুলের “পি-এইচ” এর ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে
- খুশকি দূর করে এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
প্রচলিত নামঃ ঘৃতকুমারী । ইংরেজি নামঃ Aloe vera বৈজ্ঞানিক নামঃ Aloebarbadensis mill. এলোভেরা একটি বহুল পরিচিত
ভেষজউদ্ভিদ ।ত্বক এবং চুলের যত্নে ঘৃতকুমারীর জুড়ি নেই ।বর্তমানে এলোভেরার নির্যাস থেকেবহু প্রকার প্রসাধনী তৈরি করা হয়
।ঘৃতকুমারীর গুঁড়ার সাথে পানিমিশিয়ে একটা পেষ্ট বানিয়ে নিন, এবার আঙ্গুলের মাথায় লাগিয়ে মেছতার জায়গায় সারারাত
লাগিয়েরাখুন, এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে আশানুরূপ ফল পাবেন ।আপনি চাইলে ঘৃতকুমারী গুঁড়ারসাথে কয়েক ফোঁটা
লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন, এতে ব্রনের সমস্যা দূর হবে।১ চামচ এলোভেরা গুঁড়া, ১ চামচ মুলতানি মাটি গুঁড়া, ১ চামচ
গোলাপ গুঁড়া, পরিমান মতো পানি মিশিয়ে বানানো পেষ্ট মুখেলাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন । এতে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন
পুরন হতে সময় লাগেনা।হাপ কাপ এলোভেরা গুঁড়া, ২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ২ চামচ মেথি গুঁড়া নিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন ।রাতে
শোবার আগে হেয়ার প্যাকটিস্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন অন্তত ১৫-২০ মিনিট । একটি কাপর দিয়ে আপনার মাথা সমেত চুল
বেধেনিন। প্রত্যেক সপ্তায় ২ দিন ব্যাবহার করুন এই প্যাকটি ।এলোভেরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,জবা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভালো
করে মিশিয়ে নিন, তারপর মাথায় লাগান এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষাকরুন, পরে হালকা কোন শ্যাম্পু মাথা ধুয়ে ফেলুন ।
প্যাকটি চুলের যত্নে খুব ভালো কাজকরে ।
বর্তমানে আমাদের অনেকেরই বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ টবে লাগানো থাকে। এই উদ্ভিদ হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, মুখের ঘা, পেটের
সমস্যা, ত্বকের সুরক্ষায় ও আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস করে এলোভেরা পাতার নির্যাসের শরবত খেলে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অনেক সময় অ্যালোভেরা পাতার নির্যাসের শরবত রাস্তাঘাটে বিক্রি করতে দেখা যায় কিন্তু এই গুলি খাওয়া
উচিত নয় এর থেকে ভালো আপনি ঘরে তৈরী করুন।
হজম প্রক্রিয়া
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলী ঠাণ্ডা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল বা গুড়ের শরবতের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস
যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
চুলের যত্নে
চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে
বহু বছর ধরে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। যেকোনো উপটান বা প্যাক অথবা সরাসরি এই জেল লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ মুছে যায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস অনেক বেশ কার্যকরী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হার্ট ও দাঁতের যত্নে
অ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা ও ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা কীভাবে গ্রহন করবেন
এটির রস: অ্যালোভেরার গ্রহণের সহজ উপায় হলো এটির রস। আপনার অ্যালো পাতা ছোট ছোট ভাগে কেটে নিন,
পাতার উপরের উজ্জ্বল সবুজ স্তরটি মুছে ফেলুন এবং তারপরে জেলটি বের করে নিন। পাতা এবং জেলের মধ্যে
পাতলা হলুদ রঙের ক্ষীর স্তরটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা নিশ্চিত করুন। জেলটি ধুয়ে ফেলুন এবং এটি খাদ্য
প্রসেসরে নারকেল জল এবং মিষ্টি করার জন্য একটি সামান্য মধু যুক্ত করুন এবং মিশ্রণ করুন। আপনি মিশ্রণে
আপেল বা শসার রস সহ আপনার প্রিয় জুস যুক্ত করতে পারেন।
সালাদ ড্রেসিংগুলিতে জেলটি যুক্ত করুন: অ্যালোভেরা জেল সালাদ ড্রেসিংগুলিতে যুক্ত করা যেতে পারে। পাতলা
টেক্সচারের কারণে এটি জলপাই তেল, ভিনেগার জাতীয় উপাদানের সাথে সহজে মিশ্রিত করা যায়। অ্যালোভেরা
একটি পুষ্টিকর সালাদ ড্রেসিংয়ের জন্য তৈরি করতে পারেন।
এটিকে আইস কিউব হিসাবে বরফ করুন: অ্যালোভেরা জ্বলন প্রশমিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাতলা জেলটি
একটি আইস-কিউব ট্রেতে ঢেলে এবং হিমায়িত করা যায় এবং তারপরে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণের জন্য আক্রান্ত স্থানে
প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই কিউবগুলি স্মুডিতে ব্যবহার করতেও পারেন। ফলের স্মুদি এবং মিশ্রণের সময়
আপনার ব্লেন্ডারে এই অ্যালো জেল কিউবগুলির কয়েকটি যুক্ত করুন।
বাড়িতে খাওয়ার জন্য অ্যালোভেরা তৈরি করার সময়, অবশ্যই একটি নিশ্চিত করতে হবে যে ক্ষীরটি সম্পূর্ণরূপে
অপসারণ করা হয়েছে কিনা , কারণ এটি উদ্ভিদের একমাত্র অংশের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটি প্রতিদিন
অ্যালোভেরা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না এবং আপনার ডায়েটে অ্যালোভেরা যুক্ত করার আগে ডায়েটিশিয়ান বা
পুষ্টি বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলাই ভাল।
Sadiya Sultana –
The best product. Thanks to Amarbazars.com