আলকুশি
অনেকটা সিমগাছের মতো এবং ছোট ছোট মোমদ্বারা আবৃত, ৪ থেকে ৬ টা বীজ থাকে। প্রতিটি বীজ ৫৫
থেকে ৮৫ গ্রাম ওজন হয়। এর বীজ চেপ্টা, ঈষৎ পীতবর্ণ, মুখটি কৃষ্ণবর্ণ। এর পাতা আট থেকে ১২ সে. মি. পর্যন্ত
লম্বা হয় এবং পাতাগুলো বেশ মসৃণ। সারাবছরই পর্যায়ক্রমে ফুল ও ফল পাওয়া যায়। । এবং বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়। এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের
সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে
যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায়
বিশেষ দৈহিক কারণে।
আলকুশি বীজ গুঁড়ার উপকারীতা :
১. শারীরিক শক্তি বাড়ায় আলকুশি।
২. শুক্র বৃদ্ধি পায় ও গাঢ় হয়, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গ শৈথিল্য, ধাতু দুর্বলতা দূর করে।
৩. স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে আলকুশি।
৪. সকালে আলকুশি ও অশ্বগন্ধা ১ চা চামচ গরম দুধের সাথে খেলে শারীরিক ক্লান্তি আসে না।
সেবন পদ্ধতি : আধা চা চামচ আলকুশির সাথে ১ চা চামচ অশ্বগন্ধা ১ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। ভাল ফলাফল পেতে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.