🛹 বাদাম, এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই, কমবেশি পরিচিত। আমরা অনেকেই জানিনা এই বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে। খাদ্য হিসাবে নয়, চুল ও ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে শুধু মাত্র কয়েকটা বাদাম-ই যথেষ্ট। এটা অবাক হলেও সত্যি যে, “বাজারের কোনো দামি ক্রিম বা লোশন যা পারে না, বাদাম তেল একাই সেটা করে দেখায়”। তাহলে চলুন জেনে নেই ত্বক ও চুলের যত্নের ক্ষেত্রে বাদাম তেলের ম্যাজিক।
ত্বকের যত্নে বাদাম তেলঃ-
বাদাম তেল বা আল্মন্ড অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন “ই”, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহারে এই তেল আপনাকে দিতে পারে একটি চমকপ্রদ এবং গ্লোয়িং স্কিন। শুধু তাই নয়, ব্যবহারের নিয়মানুবর্তিতা, স্কিন ক্যান্সারের প্রটেকশন হিসাবেও একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। বাদাম তেল স্কিনে খুব সহজ ভাবে মিশে যায়। ভিটামিন “এ” গুণসম্পন্ন এই তেল, ত্বকের ব্ল্যাকহেডস বা পিম্পল-এর মত সকল সমস্যাকে চিরতরে মুক্তি দেয়।
🚋 আসুন আরো জেনে নেই বাদাম তেলের উপকারিতাঃ-
ডার্ক সার্কেল রিমুভ করতে বাদাম তেল, মিরাক্কেল-এর মতন কাজ করে। স্কিন র্যাাস-এর সমস্যায় এর তুলনা অকল্পনীয়। ন্যাচারাল ট্রিটমেন্ট করে, স্কিনে ফেয়ারনেস আনতে, এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি কয়েকটা বাদাম পেস্ট করে, প্রতিদিন নিয়ম করে, স্কিনে মেসেজ করলে, এটুকু বলতে পারি, একটা ডিফারেন্ট লুকের অধিকারিনী আপনিও হয়ে উঠবেন।
চুলের যত্নে বাদাম তেলঃ-
পলিউশন, ডাস্ট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার ইত্যাদি কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। প্রপার কেয়ার না নিলে, অকালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। ড্যানড্রাফ এর সমস্যা দেখা দেয়।
একমাত্র বাদামতেল-ই পারে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার, মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে, চুলের পুষ্টি যোগায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজার থাকার দরুন, আমন্ড অয়েল( বাদাম তেল) একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
বাদাম তেল দুই রকমের হয়, একটি মিষ্টি আরেকটিতে তেতো। আর এই তেঁতো তেল-ই চুলের যত্নের কাজে লাগে। ভিটামিন ই, ফ্যাটি এসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই তেল ব্যবহারের নিয়মানুবর্তিতা, ড্রাই অথবা ফ্রিজি হেয়ার কে সফট বা কোমল করে, চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল সিল্কি এবং শাইনি করে, গোড়া থেকে চুল ভাঙ্গা রোধ করে।
Reviews
There are no reviews yet.