যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেহেদী পাতা। এ ভেষজ উপাদান চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলে নিয়ে আসে ঝলমলে ভাব। চুল রং করতেও মেহেদী পাতা অতুলনীয়।
জেনে নিন কেন নিয়মিত চুলে মেহেদী গুড়া লাগানো জরুরি-
চুল রং করতেঃ-
মেহেদী পাতা প্রাকৃতিকভাবে রঙিন করে চুল। ধূসর চুল রং করতে ব্যবহৃত হয় মেহেদী। আবার কালো চুলের রং আরও কালো করতেও মেহেদির জুড়ি নেই। মাথার তালুর চুলকানি দূর করতে মেহেদির সঙ্গে আমলা পাউডার মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। এটি মাথার তালুর অ্যালার্জি ও চুলকানি দূর করবে।
চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করতেঃ-
আমারবাজার্স মেহেদির ভেষজ গুণ চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মেহেদি পাতা চুলে নিয়ে আসে জৌলুস। মেহেদির সঙ্গে ডিম ও তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে ঝলমলে ও সুন্দর।
শ্যাম্পু হিসেবেঃ-
মেহেদীর প্যাক ব্যবহার করলে আলাদা করে শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কারণ মেহেদি প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে চুল। চুলের গোড়া মজবুত করতে মেহেদী পাতা চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। তবে খুব ঘন ঘন মেহেদি লাগাবেন না। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
ঔষধি ব্যবহার
১) মেন্দি পাতার রস ও সরষে তৈল ঘাড়ে মালিশ করলে ঘাড়ের ব্যথা কমে যায়। একমনকি গরুর ঘাড়ের ব্যাথাও কমে।
২) এ পাতা বেটে নখে ও চুলে লাগালে নখ ও চুল ভাল থাকে।
৩) পায়ের তলায় পাতা বাটার প্রলেপ দিলে চোখে গুটি ওঠে না।
৪) পাতা বেটে পুরানো একজিমায় লাগলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৫) পাতা বেটে হাতে লাগালে লাল হয়। অনেকে পাকা চুলেও ব্যবহার করেন।
৬) ইউনানী চিকিৎসকদের মতে, চুল উঠে যাওয়া বা পাকায় ১টি হরিতকি ও ১০/১২ গ্রাম মেহেদী পাতা একটু থেতো
করে ২৫০ মলি গ্রাম পানিতে সেদ্ধ করে ৬০-৭০ মিলি থাকতে নামিয়ে ছেকে ঠান্ডা হলে মাথায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৭) শ্বেতপ্রদরে ২৫ গ্রাম মেহেদী পাতা সেদ্ধ করে সেই পানিতে উত্তরস্তি ( ডুশ দেওয়া) দিলে সাদাস্রাব ও অভ্যন্তরের চুলকানি
প্রশমিত হয়। স্থানভ্রস্ট জরায়ুর ক্ষেত্রেও উপযুক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করলে অসুবিধা কমে যায়।
৮) শুক্রমেহ রোগে মেহেদি পাতার রস এক চা চামচ দিনে দুবার পানিতে বা দুধের সাথে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে
এক সপ্তাহের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়।
৯) মুখ গলার ক্ষতে পাতা সেদ্ধ পানি মুখে খানিক্ষন রাখলে সেরে যায়।
১০) গ্রীষ্মকালে ঘেমে গিয়ে গায়ে দুর্গন্ধ হলে মেহেদী পাতা ও বেনামূল সেদ্ধ পানিতে গোসল করলে উপকার পাবেন।
১১) কানে পুজ হলে এ পাতার রস ২ ফোটা করে কানে দিলে ৪/৫ দিনে পুজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
১২) চোখ ওঠায় অল্প কয়েকটা পাতা থেঁতো করে গরম পানিতে ফেলে ছেকে সেই পানির ফোটা চেখে দিলে সেরে যায়। এমনকি চোখেন কোন থেকে পুজের মতো পড়তে থাকলেও এটি ব্যবহার করলেও সেরে যায়।
১৩) প্রাচীনপন্থী বৈদ্য সম্প্রদায়ের মতে শরীরে হিমোগ্লোবিন সঠিক পরিমানে আছে কি না জানার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। মেহেদী পাতা বাটা হাতের তালুতে লাগালে রংটা লালচে আভা দিলে ভাল, না হলে হিমোগ্লেবিন কম আছে বলে ধারণা করা হয়।
১৪) আগের দিনে নবাব-বাদশাহদের অনিদ্রা রোগ হলে মেহেদি ফুলের বালিশে ঘুমানোর পরামর্শ দেয়া হত। এতে আছে লাইলাকের গন্ধ। গন্ধটি পার্থিব সস্তায় সমৃদ্ধ।
Reviews
There are no reviews yet.