অনেকেই খাবারে মসলা হিসেবে কারিপাতা ব্যবহার করেন। নিম পাতার মতো দেখতে এ পাতা মিষ্টি নিম কিংবা বারসুঙ্গা নামেও পরিচিত।
👱♀️ এই পাতা ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে সাধারণত একে ‘কারি পাতা’ বলা হয়। তবে রান্নায় স্বাদ বাড়াতে এই পাতার ব্যবহার করা হলেও এর বেশ উপকারিতা রয়েছে।
চুলের যত্নে আমারবাজার্স কারি পাতা
👩🦰 কারি পাতা চুলের রঙের উন্নতিতে সাহায্য করে। চুলের তেলে কয়েকটি কারি পাতা যোগ করুন তারপর তেল ফুটিয়ে নিন এবং মাথার খুলির উপর এটি লাগান। এটি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।কারি পাতা চুলের অকালপক্বতাপ্রতিরোধ করে। কারি পাতা চুলের যত্নের জন্য ভাল কাজ করে। খাবার থেকে ফেলে না দিয়ে পাতাগুলি নিয়ে নিন।নয়তো সকালে প্রাতরাশে ক্যারি পাতার পাউডার খেতে পারেন। এছাড়া আমলকি, শিকাকাই এবং মেথি ও কারি পাতা চুলের জন্য বেশ উপকারি। কচি-কারি পাতার পেস্ট আপনার চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যভাল কাজ করে। মেথি বা মেথি বীজ চুলের উপকারী ।এটি আপনার টক দই আর কারিপাতা
👨 চুলের যত্নে ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে আমারবাজার্স কারিপাতা আর টক দইয়ের ব্যবহার সবচেয়ে অন্যতম। কারি পাতা এবং দইয়ের একটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন (আপনি যদি চান তবে কয়েকটি নীম পাতা যোগ করুন), তেলের কয়েকটি ড্রপ এবং এটি একটি মাস্ক হিসাবে প্রয়োগ করুন। এই মিশ্রণ ১ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় মাথায় লাগিয়ে রেখে তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আমলা, শিকাকাই, ভৃঙ্গরাজ এবং মেথির মতো উপাদান এখন ভারতের নানা হারবাল ওষুধ ও পণ্যগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিশুদ্ধতার কারণে এগুলো ব্যবহার করে অনেকেই উপকৃত হয়।
🧑 হজম ক্ষমতা বাড়ায়
খালি পেটে কারি পাতা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কারণ, এই পাতা হজমের সাহায্যকারী এনজাইমকে উদ্দীপিত করে।অন্ত্র ভালো রাখে। আর হজম হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে।বমি বমি ভাব কমায় কারি পাতা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।এটি হজমশক্তি বাড়ায়, যা আপনাকে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।
🧓 ওজন কমায়
কাঁচা কারি পাতা চিবালে ওজন কমে, হজমশক্তি বাড়ে, ডিটক্সিফিকেশন হয়, ভালো কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়ে। এছাড়া এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও কোলেস্টোরেলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়ও কারি পাতা আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের চুল ও স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি-
- কারি পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে সহায়ক হয়। চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে।
- কারি পাতা বদহজম এবং বমি বমি ভাবের প্রতিকার করে। কারি পাতা থেকে রস বের করে নিন এবং এটি তাজা লেবুর রস এবং
- চিনির সঙ্গে মিশ্রিত করুন। এটা বমি বমি ভাব এবং বদহজম চিকিৎসার জন্য সাহায্য করে।
- কারি পাতা ডায়রিয়ার জন্য ভাল প্রতিকার। কারি পাতায় কার্বজোল আলকালয়েড থাকে যা ডায়রিয়ার চিকিৎসায় প্রধান ভূমিকা
- পালন করে থাকে। ডায়রিয়ার চিকিৎসা করতে, কারি পাতা নিন এবং সরাসরি এর পেস্ট বা রস তৈরি করুন।
- এগুলি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার শরীরকে চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে।
- কারি পাতা কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ থেরাপির জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে।
- এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো খাবার। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাতরাশে কারি পাতার পাউডার ব্যবহার করা ভালো।
কারিপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর পক্ষে এবং পাচনতন্ত্র উন্নত করার ক্ষেত্রে এটি বেশ ভালো।
Reviews
There are no reviews yet.