(Vringoraj)ভৃঙ্গরাজকে বলা যায় চুলের রাজা। এই একটা জিনিস চুলের সবরকম ট্রিটমেন্ট করে। শুধু চুলের গ্রোথ ঘটায় না, সাথে চুল পড়া তো কমায়ই এবং চুলের অকালপক্কতাও সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এটা সঠিক ভাবে ঘুমোতেও সাহায্য করে।
জেনে নেই কিছু গুনাগুনঃ
- চুলের কোয়ালিটি এবং টেক্সচার উন্নত করে, দীর্ঘ সময়ের জন্য কালো এবং সজীব রাখে আমারবাজার্স (Vringoraj)ভৃঙ্গরাজ।
- চুলের দ্রুত বৃদ্ধি করে মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- চুল পড়া রোধ করে এবং স্কেল্পের চুলকানি ভাব নিয়ন্ত্রণ করে।চুল্কে কন্ডিশনিং ও মসৃণ করুন।
- মাথার ত্বকের সুরক্ষা এবং চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে।
- চুল সিল্কি নরম করে এর টেক্সচারটি স্মুথেন করে।
- প্রিমেচিউর হেয়ার গ্রেয়িং রোধ করে।
আমারবাজার্স ভৃঙ্গরাজ গুঁড়া বিষেশত্বঃ
আমারবাজার্স ভৃঙ্গরাজ (Vringoraj)সংগ্রহের পর পরিষ্কার পরিচ্ছন করে, রোঁদে শুকিয়ে, সম্পূর্ন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত করা হয় ভৃঙ্গরাজ গুঁড়া । তাই ভৃঙ্গরাজ ধুলা-বালি এবং অপ্রত্যাশিত উপাদান মুক্ত। এছাড়া নিখাদ ভৃঙ্গরাজ গুড়া তে কোন ক্যামিক্যল ব্যবহার করা হয় না বলে স্কিনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে না।
সাধারণ কিছু ব্যবহার
পরিমাণ অনুযায়ী ভৃঙ্গরাজ (Vringoraj)পাউডার জলে গুলে নিন। এবার এই ঘন পেস্ট স্ক্যাল্প সহ চুলে লাগান। ২০ মিনিট মত রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটা সপ্তাহে তিনদিন যদি করতে পারেন তাহলে, শুধু চুল পড়া কমবে না, চুলের গ্রোথও বাড়বে। এছাড়া আপনি অন্য যেকোনো কোনো প্যাকের সাথে মিক্স করেও লাগাতে পারেন।
আমারবাজার্স ভৃঙ্গরাজ পাতার উপকারিতা
১) সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয় বা আধকপালে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে (Vringoraj)ভৃঙ্গরাজের পাতার রস মাথায় মাখলে উপশম হয়।
২) মাথার চুল ওঠায় এই পাতার রস দুপুরে মাথায় লাগালে অথবা রস দিয়ে তেল পাক করে ব্যবহার করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়।
৩) নারীরা শ্বেত প্রদরের শিকার হলে প্রায়ই মাথার চুল উঠে যায়, সেক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দিনে দুইবার মাথা ধুলে ৩/৪ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।
৪) চোখ উঠে পুঁজ জমলে ২০/২৫ ফোঁটা ভৃঙ্গরাজের রস পানিতে মিশিয়ে এ পানি দিয়ে চোখ ধুলে এটি সেরে যাবে।
৫) পাইরিয়া হলে ভৃঙ্গরাজের পাতার গুঁড়া করে মাজনের মত ২/৪ মিনিট ব্যবহার করলে দোষটি সেরে যায়। এছাড়াও এতে মাড়ি শক্ত হয় এবং মাড়িতে কোন ঘা থাকলে পাতার ক্বাথ দিয়ে কয়েকটি দিন মুখ ধুলে সেরে যায়।
৬) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব হলে এর পাতার রস পূর্ণবয়স্কদের জন্য এক চা চামচ এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেলে উপদ্রব কমে যায়।
৭) অজীর্ণ মল, তার সঙ্গে আমও আছে, এরকম ক্ষেত্রে ২৫/৩০ ফোঁটা (Vringoraj) ভৃঙ্গরাজ পাতার রস প্রতিদিন আধা কাপ ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
৮) (Vringoraj) ভৃঙ্গরাজ পাতার রস মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।
৯) রক্তে শ্বেত কনিকা বেড়ে গেলে ২৫/৩০ ফোঁটা এই পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
১০) দাঁতে ভৃঙ্গরাজ রসের প্রলেপ দিলেও বেশ উপকার হয়।
Reviews
There are no reviews yet.